ফেসবুকে কেনা-বেচায় সংশ্লিষ্টদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো ‘অনলাইন উদ্যোক্তাদের ভ্যাট-ট্যাক্স সহজীকরণ কর্মশালা’। ভার্চুয়াল এই কর্মশালায় মূল আলোচক ছিলেন দ্য রিয়াল কনসালটেশনের ফাউন্ডার ও লিড কনসালট্যান্ট ভ্যাটবন্ধু আলিমুজ্জামান।
ই-ক্যাব এর এফ-কমার্স এলায়েন্স এর আয়োজনে ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ই-ক্যাব এর ডিরেক্টর এবং এফ কমার্স এলায়েন্স এর ডিরেক্টর ইনচার্জ সাইদুর রহমান। ওয়ার্কশপে উপস্থাপনা করেন এফ কমার্স এলায়েন্স এর মেম্বার সেক্রেটারি সৈয়দা ফাতেমা মম। ওয়ার্কশপে উপস্থিত ছিলেন এফ-কমার্স এলায়েন্স এর চেয়ারম্যান মোঃ রুহুল কুদ্দুস ছোটন, কো-চেয়ারম্যান খালিদ সাইফুল্লাহ্, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ উসওয়াত ইমাম, কো-চেয়ারম্যান সদরুল হাসান, অর্গানাইজিং সেক্রেটারি মুসলিম উদ্দিন, জয়েন্ট অর্গানাইজিং সেক্রেটারি হাসান জামান, এক্সিকিউটিভ কমিটি মেম্বার জোবায়ের রুবেলসহ এফ-কমার্স এলায়েন্স কমিটির সদস্যরা।
এই ওয়ার্কশপে অংশগ্রহন করেন ই-ক্যাব ও এফ-কমার্স এলায়েন্স সদস্যসহ ১৭০ জন অনলাইন উদ্যোক্তা। ভ্যাট দ্রব্যমূল্যের ওপর কিভাবে প্রভাব বিস্তার করে, কিভাবে দক্ষতার সঙ্গে ভ্যাট দিলে দ্রব্যমূল্য কমে আসবে, ভ্যাট কেন ভীতির বিষয় নয়, কখন ভ্যাট দিতে হবে আর কখন দিতে হবে না, অনলাইন উদ্যোক্তা হিসেবে ভ্যাট আইনের প্রাপ্ত সুবিধাসমূহ কিভাবে গ্রহণ করবেন―এ রকম কিছু বিষয় নিয়ে কর্মশালায় আলোচনা করা হয়।
‘ভ্যাট বন্ধু’ হিসেবে আলিমুজ্জামান ব্যবসায়ীদের ভ্যাট ভীতি দূর করতে এবং তাদেরকে দক্ষতার সঙ্গে ভ্যাট দেওয়ার ওপর প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন। তিনি কর্মশালায় বলেন, ’দেশের অনলাইন উদ্যোক্তাদের জন্য বাংলাদেশ সরকার নানা ধরনের কর রেয়াত ব্যবস্থা করে রেখেছে। আমরা দেখেছি অনেক অনলাইন উদ্যোক্তারা না জানার কারণে অতিরিক্ত ভ্যাট প্রদান করছেন। এর ফলে তাদের পণ্যের দামও বেড়ে যাচ্ছে। আমি মনে করি, দক্ষতার সঙ্গে ভ্যাট দিলে পণ্যের দাম ৫ থেকে ৭ শতাংশ কমানো সম্ভব। ‘
এই কর্মশালার ফলে অনলাইন উদ্যোক্তাদের মধ্যে থেকে ভ্যাট-ট্যাক্স ভীতি ও এ নিয়ে বিভ্রান্তি দূর হবে এবং এখন থেকে নিজের ভ্যাট-ট্যাক্স নিজেই দিতে পারবেন বলে আয়োজকরা মনে করছেন।