প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কলেজছাত্রীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোয় মোমিনুল ইসলাম চঞ্চল (২৬) নামে এক যুবককে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত চঞ্চল আহমেদ নগরীর বোয়ালিয়া থানার মোন্নাফের মোড় এলাকার বাসিন্দা। একই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জিয়াউর রহমান এ রায় দেন। রায় ঘোষণাকালে চঞ্চল আহমেদ আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইসমত আরা বেগম জানান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের (৫৭) ২ ধারায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন চঞ্চল আহমেদ। তাকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আদালত জানিয়েছেন, আসামির হাজতবাস মূল কারাদণ্ড থেকে বাদ যাবে। এছাড়া জরিমানার টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে ভিকটিম পাবেন।
মামলার বিবরণে প্রকাশ, রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজের ওই ছাত্রী নগরীর নতুন বিলশিমলা এলাকার বাসিন্দা। তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন চঞ্চল। কিন্তু সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন ওই কলেজছাত্রী। নিষেধ করায় ওই ছাত্রীকে পথে-ঘাটে এমনকি কলেজের ফটকে উত্ত্যক্ত শুরু করেন যুবক। একপর্যায়ে তার কাছে এক লাখ টাকা দাবি করেন। তা না হলে অশ্লীল ছবি বানিয়ে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।
পরে ওই ছাত্রীর নামে একাধিক আইডি ফেসবুকে অপপ্রচার শুরু করেন। এনিয়ে ২০১৭ সালের ১৭ এপ্রিল ৬ জনকে আসামি করে নগরীর রাজপাড়া থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী। পরে পুলিশ মোমিনুল ইসলাম চঞ্চলকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।