নেট দুনিয়ার অশ্লীলতা, পর্ণো, জুয়া এবং ক্ষতিকর ম্যালওয়্যার ও ফিশিং থেকে নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ডিএনএস সার্ভিস ‘কাহাফ গার্ড’ এবং হালাল ভিডিও প্লাটফর্ম হিসেবে ‘মাহফিল’ নামে একটি প্লাটফর্ম চালু হয়েছে বাংলাদেশে। চালুর অপেক্ষায় রয়েছে এমনি আরো ৪টি সেবা। এগুলো হলো- কাহফ কিডস, কাহফ ব্রাউজার, কাহফ ইন্টারনেট এবং কাহফ সিম।
রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচ এ কাহফ অফিসে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন কাহফ চিফ অ্যাডভোকেসি অফিসার শরীফ আবু হায়াত। অনুষ্ঠানে নিজেদের ‘হালাল’ ইন্টারনেট সেবার জন্য তৈরি সফটওয়্যার ও অ্যাপগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। জানানো হয়েছে, মাহফলি সফটওয়ারটিতে ইউটিউব রেস্ট্রিকশন মোড সুবিধা পাওয়া যাবে। এটি ইউটিউবের হালাল বিকল্প যার নিজস্ব বিজ্ঞাপন ইঞ্জিন রয়েছে। আর যেকোনা আপত্তিকর কনটেন্ট, স্ক্যাম ও ফিশিং, ম্যালওয়ার বিদ্বেষী কনটেন্ট, জুয়া ও নেশা জাতীয় কনটেন্ট, ভুয়া কনটেন্ট হিসেবে চিহ্নিত ৫০ লাখের বেশি হারাম ওয়েবসাইট থেকে সুরক্ষা দিবে কাহাফ গার্ড। এটি গার্ড পর্ন সাইট, জুয়া, ম্যালওয়্যার এবং ফিশিং সাইটসহ অন্যান্য ক্ষতিকর সাইট ব্লক করে। কাহফ ব্রাউজার হালাল ব্রাউজিং অভিজ্ঞতার জন্য কন্টেন্ট ফিল্টার করে এবং কাহফ কিডস একটি নিরাপদ ও শিশু-বান্ধব প্ল্যাটফর্ম নিশ্চিত করে। কাহফ সিম এবং কাহফ ইন্টারনেট হালাল ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদান করবে।
অনুষ্ঠানে কাহফের সিটিও ও কো-ফাউন্ডার ওমর আল জাবির বলেন, “গত চার বছর আমি ফেসবুকের প্যারেন্ট কোম্পানি মেটাতে কাজ করেছি। আমার কাজ ছিলো সোশ্যাল মিডিয়ায়—বিশেষ করে মেসেঞ্জার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটস অ্যাপ—যেসব অপরাধ ঘটে তা দমন করা নিয়ে। এই প্ল্যাটফর্মগুলোতে ১০ জন শিশু-কিশোরের মধ্যে ছয় জনই ক্ষতির শিকার হয়। তারা অশ্লীল কন্টেন্ট দেখে এবং এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয় যা তাদের মানসিকতাকে গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করতে হালাল ইন্টারনেট আনতে চাই।”
কাহফের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও নিজাম বলেন, “আমরা অনলাইনের সমস্ত হারাম কন্টেন্ট বন্ধ করতে, হালাল বিকল্প প্ল্যাটফর্ম আনতে এবং একটি বড় হালাল ইকোসিস্টেম তৈরি করতে চাই, ইনশাআল্লাহ। এই আয়োজনটি নিঃসন্দেহে বাংলাদশি উদ্যোক্তাদের বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে নতুন কিছু করার এক দিগন্ত উন্মোচিত করবে।