সাইবার নিরাপত্তা শুধুমাত্র আইটি বিশেষজ্ঞদের দায়িত্ব নয়। সাইবার স্পেসে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এই সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী সর্বোত্তম সাইবার নিরাপত্তা অনুশীলনে অগ্রগামী এবং অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।
আন্তর্জার্তিক ভাবে পালিত সাইবার মাসের প্রথম দিন মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বিমানবাহিনী সদর দফতর মিলনায়তনে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত ‘বিমানবাহিনীর সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস-২০২৪’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেছেন বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেছেন, কার্যকর সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা ঝুঁকি কমাতি পারি এবং এর সম্ভাব্য ক্ষতি থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারি।
হাসান মাহমুদ খাঁন আরো বলেন, সাইবার নিরাপত্তা শুধুমাত্র আমাদের আইটি বিশেষজ্ঞদের দায়িত্ব নয়, সাইবার স্পেসে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এই সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী সর্বোত্তম সাইবার নিরাপত্তা অনুশীলনে অগ্রগামী এবং অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।
তিনি বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আর শুধুমাত্র একটি প্রযুক্তিগত বিষয় নয়, এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অপরিহার্য এবং আলোচ্য অংশ।
বিমানবাহিনী প্রধান বলেন, সংবেদনশীল তথ্যের সুরক্ষা শক্তিশালী সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সুবিধাগুলোর মধ্যে একটি এবং সাইবার হুমকি ও আক্রমণের ক্রমবর্ধমান সংখ্যার সঙ্গে, সংস্থা এবং ব্যক্তির জন্য তাদের সংবেদনশীল তথ্যগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।
সাইবার ওয়ারফেয়ার অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি পরিদফতরের পরিচালক অনুষ্ঠানে প্রধান সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিমানবাহিনী প্রধান এই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সাইবার ওয়ারফেয়ার অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি পরিদফতরের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন এবং সবাইকে সচেতন ও সতর্ক থাকতে উৎসাহ দেন।
অনুষ্ঠানে বিমানবাহিনীর ঢাকার ঘাঁটি, ইউনিটের নির্বাচিত কর্মকর্তা, বিমানসেনা এবং অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ঢাকার বাইরের ঘাঁটিগুলোর প্রতিনিধিরা ভিডিও টেলি কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে অংশ নেন।