ইমো অ্যাপ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের নামে ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ করে পরে ওই ব্যক্তির একাউন্ট হ্যাক করে কৌশলে লোকজনের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়া চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরা হলেন রনজু আহম্মেদ (২২), মো. ফজলে রাব্বি (২০) এবং মো. রাজন আলী ওরফে ইমো রাজন (২২)।
তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় প্রতারক চক্রের এই তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা ডিএমপির মিরপুর মডেল থানা পুলিশ। শনিবার (২৭ মে) নাটোরের লালপুর এবং রাজশাহী জেলার বাঘা থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসীন।
তিনি জানান, গ্রেফতার রাজন এলাকাবাসীর কাছে পরিচিত ইমো রাজন নামে। সে অভিনব উপায়ে ইমোর মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়। প্রতারণার জন্য ইমো সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান দিয়ে বিভিন্ন নামে ইমোতে অনেকগুলো গ্রুপ খোলে রাজন। এই গ্রুপে কেউ যুক্ত হলে তাকে টার্গেট করা হয়। এরপর বিভিন্ন উপায়ে বিভিন্ন নম্বর থেকে তার ইমোতে বিপুল পরিমাণ স্টিকার মেসেজ পাঠানো হয়। এত বিপুল পরিমাণ ম্যাসেজ আসার এক পর্যায়ে ওই নম্বর হ্যাং হয়ে যায়। তখন ওই ব্যক্তি গ্রুপে সহযোগিতা চান। তখন রাজন ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে এই ‘সমস্যা’ সমাধানের জন্য তার আইডিতে ঢোকার একসেস চায়। এক্ষেত্রে গ্রাহকের কাছে একটি ওটিপি যায়, ওই ওটিপির মাধ্যমে অন্যরাও একসেস পায়। ইমোতে ঢুকে রাজন সেই ইমোর সব মেসেজ পড়ে নেয় এবং তার আত্মীয়-স্বজন সম্পর্কে তথ্য নেন। এরপর তার আত্মীয়ের কাছে ‘আমি বিপদে পরেছি, টাকা পাঠান’ ‘মা অসুস্থ, টাকা পাঠান’ জাতীয় ম্যাসেজ পাঠিয়ে ৫ হাজার, ১০ হাজার, ১৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
‘রাজন স্টোরি’, ‘রাজন সলিউশন’ ছাড়াও তার এমন বিভিন্ন গ্রুপ আছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।