গবেষণা ও উন্নয়নে আন্তর্জাতিক মেলা করতে সহায়তা দেয়ার পাশাপাশি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪টি হলেই ব্রডব্যান্ড সংযোগের তারহীন ইন্টারনেট ও শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন এবং কাটি টাকার স্মার্ট ক্যাম্পাস ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অল্পদিনের মধ্যেই একটি রিসার্চ ইনোভেশন সেন্টার স্থাপনে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের একটি তালিকা চেয়েছেন তিনি।
সোমবার ময়মনসিংহের ত্রিশালে বিশ্ববিদ্যালয়টির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের এক বছর পূর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের প্রথম গবেষণা মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব প্রতিশ্রুতি দেন প্রতিমন্ত্রী। বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবীর। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন হল অধ্যক্ষ মাসুম হাওয়লাদার।
অনুষ্ঠানের মধ্যভাগে হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৪ বিভাগের ২৪ মেধাবী শিক্ষার্থীর হাতে মেধা বৃত্তির ক্রেস্ট ও চেক তুলে দেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী। এর আগে তিনি হল স্মরণীকার মোড়ক উন্মোচনের পাশপাশি শিক্ষা-গবেষণা ও উন্নয়ন নিয়ে গবেষণা মেলার উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতেই বৃষ্টির গান গেয়ে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উজ্জীবিত করেন জুনাইদ আহমেদ পলক। এরপর তিনি বক্তব্যে বলেন, বিগত ১৪ বছরে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আইসিটি খাতে জননেত্রেী শেখ হাসিনার সরকার দেশে ২০ লাখ তরুণের কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি করেছে। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে ৩০ লাখ তরুণের কর্মসংস্থান করবে। এই মুহূর্তে দেশের ১৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৫০ লাখ ছাত্র-ছাত্রী পড়ালেখা করছে। এরাই আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে।
এজন্য ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টার নির্দেশনায় বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক একটি উদ্যোগ নেয়ার কথা উল্লেখ করে পলক বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয় ভাই বলেছেন, ২০৪১ সাল নাগাদ লক্ষ্য, বাংলাদেশ বিশ্বের সফট সুপার পাওয়ার হিসেবে বিশ্বে নেতৃত্ব দেওয়া। এজন্য আমরা ৫৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা ও উদ্ভাবন কেন্দ্র স্থাপন করবো। এসব উদ্যোগের অংশ হিসেবে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪টি হলেই যতদ্রুত সম্ভব হাই স্পিড ফাইবার অপ্টিক্যাল কেবল কানেক্টিভিটি দিবো। তবে তোমাদের কাছে অনুরোধ শুধু শুধু ফেসবুক ইউটিউবে বিনোদনের জন্য নয় কর্মসংস্থানের কাজে লাগাবে। স্বাধীন বাংলাদেশে সাইবার যুদ্ধে দেশের পক্ষে প্রযুক্তি ব্যবহার করে লড়াইয়ে ঝাপিয়ে পড়বে।
এছাড়াও শিক্ষার্থীদের যেনো অর্থাভাবে পড়তে না হয় সে জন্য তাদের ফ্রিল্যান্সার হয়ে উঠতে প্রত্যেকটি হলে ১৮টি ল্যাপটপসহ একটি অত্যাধুনিক শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাপটপ স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দেন পলক।
তিনি বলেন, এখানে ছাত্র-ছাত্রী ভাই-বোনেরা প্রশিক্ষণ নিয়ে অন্যের জন্য সুযোগ করে দেবে। দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত হবে।