চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেছেন, “তোমরা যারা আজকে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে নতুন পথচলা শুরু করতে যাচ্ছো, তোমরা নিঃসন্দেহে ভাগ্যবান। তোমাদের অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল চিন্তা ও আধুনিক মানসিকতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আলোকিত মানুষ হতে হবে। দেশের দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দিষ্ট একটা সময় পরপর জাতিকে একেকটা ভিশন সেট করে দিয়েছেন। তেমনি আজকের নবাগত শিক্ষার্থীদের জন্য আমি ২০২৬ সালের মধ্যেই ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বের হওয়ার একটা ভিশন সেট করে দিলাম। আশা করি, একাডেমিক কার্যক্রমে তোমাদের আন্তরিক সহযোগিতার মাধ্যমে সেটা সম্ভব হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৯শে মার্চ ২০২২) বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্ত্বর সংলগ্ন বাস্কেটবল মাঠে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক কোর্সের লেভেল-১ (‘২১ ব্যাচ) এর ছাত্র-ছাত্রীদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন প্রত্যাশা কথা তুলে ধরেন তিনি।
ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে Inspiring SpeechÕ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুনীল ধর, Academic Ordinance and Rules & Examination Ordinance and Rules বিষয়ে পুরকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম, Research Collaboration, Industry and University Interaction বিষয়ে তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক, Campus Living Rules and General Rules বিষয়ে স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল হাছান বক্তব্য রাখেন।
এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডিন ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। অনুষ্ঠানে Student Discipline Rules (General); Hall Accommodation and Hall Discipline Rules and Extra Curricular Activities বিষয়ে সভাপতির বক্তব্য রাখেন ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়েট ভিসি জানান, চুয়েটের একাডেমিক সিলেবাসকে বিশ্ববাজারের উপযোগী করে প্রণয়ন করা হয়েছে। নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকেই আউটকাম বেইসড কারিকুলাম (OBE) পদ্ধতিতে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে গবেষণা কেন্দ্র। এখান থেকে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি ও গবেষণা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিবেশ ও অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরির মাধ্যমে সেভাবে সাজানো হয়েছে।
তিনি বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা চাকরির পেছনে না ঘুরে উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিতে সারাদেশে অসংখ্য ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আমাদের চুয়েটের শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরে আইডিয়া ও ইনোভেশন দিয়ে নতুন-নতুন স্টার্টআপ তৈরির মাধ্যমে একজন উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ পাবেন। ২০৪১ সালের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তোমরাই হবে আগামীর হাতিয়ার। অভিভাবকদের বলছি, আপনারা সন্তানের খোঁজ নিবেন। শিক্ষকদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবেন।”
চুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সম্পদ ঘোষ ও সহকারী অধ্যাপক ড. মেহেদী হাসান চৌধুরী, মানবিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাহিদা সুলতানা ও উপ-পরিচালক জনাব মোহাম্মদ ফজলুর রহমানের যৌথ সঞ্চালনায় এতে নবাগত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অনুভূতি জানিয়ে বক্তব্য দেন মেকাট্রনিক্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অঙ্কন দে এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের ইশরাত জাহান বুশরা। ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম শেষে স্ব-স্ব বিভাগে শিক্ষার্থীদের পরিচিতমূলক সভা ও আবাসিক হলের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।