তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‘ক্যাশলেস ইকোনমি’র সুফল পেতে এবং প্রান্তিক পর্যায়ে তা পৌঁছে দিতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এ ধারাবাহিকতায় হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে (হাবিপ্রবি) প্রথম ক্যাশলেস বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে। শিক্ষার্থীরা সেমিস্টার ফিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন খরচ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস বা এ জাতীয় ক্যাশলেস টুলের মাধ্যমে দিতে পারবেন।’
‘সিআরআই’-এর অঙ্গ সংগঠন ‘ইয়াং বাংলা’র আয়োজনে দেশের তরুণ ও নীতি নির্ধারকদের ভাবনার মেলবন্ধন ঘটাতে রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) হাবিপ্রবি’র অডিটোরিয়াম-২-এ আয়োজিত ‘লেটস টক’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি এসব কথা বলেন তিনি। এসময় প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘খুবই অল্প সময়ের মধ্যে হাবিপ্রবিকে আমরা ক্যাশলেস ও পেপারলেস তথা স্মার্ট ক্যাম্পাস রূপান্তরিত করব। এ ব্যাপার খুব শিগগিরই কাজ শুরু হবে।’
এ সময় প্রতিমন্ত্রী আগামী সাত দিনের মধ্যে হাবিপ্রবি উপাচার্যকে বিষয়টি বাস্তবায়নে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করতে বলেন। প্রয়োজনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে প্রযুক্তিগত ও আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, আজকের লেটস টক প্রোগ্রামটি প্রথম হাবিপ্রবিতে অনুষ্ঠিত হলো। খুব সুন্দর পরিবেশে প্রাগ্রামটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গঠন। তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলসভাব কাজ করে যাচ্ছেন তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। এরই অংশ হিসেবে তিনি হাবিপ্রবিসহ অন্যান্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ ও সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক। হাবিপ্রবির ভাইস চ্যান্সলর প্রফেসর ড. এম কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ‘আমার দেশ আমার গ্রামের’ সহ-প্রতিষ্ঠাতা সাদেকা হাসান সেজুতি ও বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান তানজিবা রহমান।
মতবিনিময় সভায় হাবিপ্রবির উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা বিনির্মাণে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। ইয়ং বাংলাকে অসংখ্য ধন্যবাদ হাবিপ্রবিতে তরুণদের নিয়ে এতো সুন্দর একটি আয়োজন করার জন্য। আশা করি এমন সুন্দর আয়োজনের ধারা অব্যাহত থাকবে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা ক্যাশলেস ইকোনমি এবং সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী।
এ সময় এক শিক্ষার্থীর প্রশ্নের জবাবে পলক বলেন, অনেক সময় শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ সময় অপচয় করে এক ভবন থেকে অন্য ভবনে ফাইল নিয়ে ছোটাছুটি করতে হয়। বিষয়টি সহজ করতে ই-নথির মাধ্যমে সেমিস্টার ফি প্রদান বা অন্যান্য কাজগুলো সম্ভব করতে কাজ চলছে।’
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ক্যাশলেস ইকোনমির সুফল পেতে এবং প্রান্তিক পর্যায়ে তা পৌঁছে দেবার জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এসময় তিনি হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রথম ক্যাশলেস বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে দেখার কথা ব্যাক্ত করেন যেখানে শিক্ষার্থীদের সকল সেমিস্টার পেয়েমেন্ট গুলো নগদ অর্থে না হয়ে বিভিন্ন মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস বা এজাতীয় ক্যাশলেস টুল গুলো দিয়ে সম্পন্ন করা যাবে।