জাতীয় শোক দিবসে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শহীদ মিনারে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়েছেন ছাত্রলীগের একদল কেন্দ্রীয় নেতা। এরপর সেখানে ছাত্রদল ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছেন তারা। দিনের কর্মসূচি হিসেবে বুয়েট ক্যাফেটেরিয়ায় স্মরণ সভা করেছেন তারা।
তবে এদিন ছাত্রলীগের এই কর্মসূচি নিয়ে কোনো প্রতিবাদ কিংবা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বরং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সন্ধ্যায় বুয়েট ক্যাফেটারিয়ার সামনে স্মরণ সভা করেছে তারা। তবে এই অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি সত্য প্রাসাদ মজুমদার প্রধান অতিথি এবং প্রো-ভিসি অধ্যাপক আব্দুল জব্বার খান ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান বিশেষ অতিথি থাকলেও তারা উপস্থিত ছিলেন না।
সভায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিচারণ করেন মেকানিক্যাল বিভাগের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাফিয়াত রিজওয়ানা। সভায় অসমাপ্ত আত্মজীবনী পাঠ করেন ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (ইইই) শিক্ষার্থী তাসমিয়া আফরিন তাসমিন। এছাড়া আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে ‘মুজিব আমার প্রেরণা’ শীর্ষক একটি প্রামাণ্য চিত্র পরিবেশন করা হয়।
এদিকে ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর ‘ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ’ হওয়া বিষয়ে কঠোরতা আরোপের পর ক্যাম্পাসে এসে ছাত্রলীগের ফুল দেওয়া ও স্লোগান এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের নামে অনুষ্ঠান করে সেখান থেকে রাজনৈতি স্লোগান দেয়াকে নেতিবাচকভাবে দেখছেন বুয়েটের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। একে ‘বহিরাগতদের সরব উপস্থিতি’ উল্লেখ করে তারা এ ঘটনায় বুয়েট কর্তৃপক্ষের যথাযথ ব্যবস্থা দাবি করেছেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে শনিবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বুয়েট ক্যাফেটেরিয়ায় ছাত্রলীগের ব্যানারে আলোচনা সভা ও দোয়ার আয়োজন করে বুয়েট ছাত্রলীগের একদল সাবেক নেতৃবৃন্দ। আবরার ফাহাদ হত্যার পর বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ৷ হয়। সেই সূত্র ধরে ছাত্রলীগের এই কর্মসূচির প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিক্ষোভ করেছে বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় বিক্ষোভকারীরা ‘আবরারের রক্ত বৃথা যেতে দিবো না, আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দিবো না, রাজনীতির ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দেয়। রোববার এক মানববন্ধনে ওই বিক্ষোভকারীদের ‘জামায়াত-শিবির কর্মী’ আখ্যায়িত করেছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান।