আবরার ফাহাদ হত্যার পর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ার পর শনিবার সন্ধ্যায় বুয়েটের সেমিনার অডিটোরিয়ামে ‘সাবেক ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ, বুয়েট’ অনুষ্ঠান আয়োজন করায় বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন সেখানকার শিক্ষার্থীরা। এরপর থেকে শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতাবিরোধী, বঙ্গবন্ধুবিরোধী, একাত্তরের ঘাতকদের সহযোগী আখ্যা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী।
এমন পরিস্থিতিতে সোমবার (১৫ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল করার ঘোষণা দেন ‘সাধারণ শিক্ষার্থীরা’।
রোববার (১৪ আগস্ট) বুয়েট অডিটোরিয়ামের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, সোমবার বিকেল ৫টায় ক্যাফেটেরিয়ায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে বুয়েট শিক্ষার্থীরা বলেন, বুয়েট অডিটোরিয়াম ভবনের সেমিনার কক্ষে ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বুয়েটের সাবেক নেতৃবৃন্দ’ ব্যানারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রয়াণবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এখানে উল্লেখ্য যে, ২০১৯ সালের ১১ অক্টোবর বুয়েটে সব ধরনের রাজনৈতিক সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রশাসন। প্রশাসনিক আইন অনুসারে, বুয়েটের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী, প্রশাসনিক এবং অ্যাকাডেমিক কাজে নিয়োজিতরা এ নিষেধাজ্ঞা মেনে চলতে বাধ্য।
তারা আরো বলেন,‘একই সঙ্গে উপাচার্য বরাবর লিখিত আবেদনে বুয়েট কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া মাহফিল করার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে বুয়েটের সব প্রশাসনিক ও অ্যাকাডেমিক দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তি, বর্তমান ও সাবেক সাবেক সব শিক্ষার্থীকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। এছাড়া জাতির শ্রেষ্ঠসন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরও সাদর আমন্ত্রণ। আমাদের এ আয়োজন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আপনাদের সবার সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য।’
তাদের ঘোষণা, ‘নৈতিকতার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সব ধরনের বৈষম্যমূলক অপসংস্কৃতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারকে রুখে দিয়ে বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সবসময় প্রস্তুত’।