বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয় শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধসহ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জানুয়ারির মধ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি তুলেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। শনিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানান কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আব্দুল কাদিরের সঞ্চালনায় প্রক্টর অধ্যাপক মো. মোখলেসুর রহমান, শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সালমা আক্তার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জামাল উদ্দিন, শাহপরাণ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ইফতেখার আহমেদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের’ সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেন, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির অবসান করতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন খুব জরুরি। ছাত্র সংসদ নির্বাচন হলে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধি পাবেন। যারা শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে কাজ করবেন। শিক্ষার্থীদের প্রতি দায়বদ্ধ থাকবেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে উঠবে; যা সবার প্রত্যাশা। আমরা চাই চাটুকারিতার অবসান ঘটিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে সুস্থ ধারার নেতৃত্ব তৈরি হোক।
সারজিস আরো বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চলা আওয়ামী শাসনামলে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছিল। এদের কর্মকাণ্ডের মধ্যে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাসী ছিল অন্যতম। তাই নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি বন্ধে ছাত্র সংসদ নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে দেশে যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে উঠবে।
এর আগে সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক স্নিগ্ধ ও সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম। মতবিনিময় শেষে বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন তারা।
সভাপতির বক্তব্যে জুলাইয়ের আন্দোলনে নিহত শাবিপ্রবি‘র কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী রুদ্র সেনকে স্মরণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. ইসমাইল হোসেন। তিনি বলেন, আমরা যদি সৎ ও ন্যায্যতার সঙ্গে দেশ গঠন করতে না পারি, তাহলে তাদের সঙ্গে বেঈমানি করা হবে। এ আন্দোলনের সফলতার মাধ্যমে সোনার বাংলাদেশ গড়ার জন্য, বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে ছাত্ররা স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাছাকাছি নিয়ে গেছে।