বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী ও পটুয়াখালীর কৃতিসন্তান হৃদয় চন্দ্র তরুয়ার বড় বোন মিতু তরুয়াকে লাইব্রেরি এটেনডেন্ট পদে চাকরি দিয়েছে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) কর্তৃপক্ষ। চাকরি পেয়ে সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন শহীদের পরিবারের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট পদে হৃদয় তরুয়ার বড় বোন মিতু রানীর হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. এস এম হেমায়েত জাহান, সিএসই অনুষদের সিনিয়র প্রফেসর জামাল হোসেন, প্রফেসর ড. মোহাম্মাদ আতিকুর রহমান, প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. আবুল বাশার খান, প্রফেসর ড. মো. খোকন হোসেন, ছাত্রবিষয়ক উপ-উপদেষ্টা ড. এবিএম সাইফুল ইসলাম, ডেপুটি রেজিস্ট্রার ড. মো. আমিনুল ইসলামসহ শহীদ হৃদয় তরুয়ার বাবা রতন চন্দ্র তরুয়া ও মা অর্চনা রানী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ২৯ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টার দিকে উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে পটুয়াখালী শহরের মুন্সেফপাড়া এলাকায় হৃদয় চন্দ্র তরুয়াদের ভাড়া বাসায় গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান। উপাচার্য তখন তাদের হাতে নগদ অর্থ তুলে দেন এবং বোনকে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির আশ্বাস দেন। সেই আশ্বাসে আজ হৃদয় তরুয়ার বড় বোন মিতু রানীকে পবিপ্রবিতে চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হয়।
১৮ জুলাই চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট এলাকায় সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন হৃদয়। ওইদিন তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৩ জুলাই তার মৃত্যু হয়।