পদত্যাগ করেছেন প্রভোস্ট, সহকারী প্রভোস্ট এবং প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রহস্যজনক ভূমিকা ছিল বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের। এর মধ্যে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক কবির হোসেন ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনা পারভীনকে পদত্যাগ করতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শাবিপ্রবির সমন্বয়ক হাফিজুল ইসলাম বলেন, পদত্যাগের জন্য তাদের বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।
তবে বৃহস্পতিবার দুপুরেই জানা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সোমবার (৫ আগস্ট) দেশত্যাগের তিনদিন আগে থেকেই তারা অফিস কার্যক্রমে অনুপস্থিত। বৃহস্পতিবার উপ-উপাচার্যকে খুঁজতে যোগাযোগ করা হলে অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেনের মুঠোফোন ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে কয়েক দফা ফোনে কল দিলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সরকার পতনের একদফা দাবির পর থেকে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেছেন উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য। তবে তারা মোবাইলের মাধ্যমে আস্থাভাজনদের কাছ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক গতিবিধি সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছেন।
অপরদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও প্রক্টরসহ যেসব শিক্ষক প্রশাসনিক দায়িত্বে থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কাজ করছেন; সেসব শিক্ষকদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার শাবিপ্রবির সকল আবাসিক হলের প্রভোস্ট, সহকারী প্রভোস্ট এবং প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা পদত্যাগ করেছেন।
দুপুরে পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রক্টর অধ্যাপক কামরুজ্জামান চৌধুরী জানান, প্রক্টরিয়াল বডির সকল সদস্য, হলের প্রভোস্ট, সহকারী প্রভোস্ট সকলে আমরা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। আমরা সকলে একমত হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি পদত্যাগ করতে। ইতিমধ্যে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি।