দেশে থাকা অন-ডিমান্ড রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোর চালকদের আয়ের বিকল্প ব্যবস্থা নেই। করোনা মহামারীতে এইসব চালকদের বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা করে রাইড শেয়ারিং সেবা সাময়িক বন্ধ করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন পাঠাও সিইও হুসেইন এম ইলিয়াস।
ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপোর প্রথম দিনে অনুষ্ঠিত ‘জার্নি অব ফাউন্ডিং ইওর ওউন ভেঞ্চার’ শীর্ষক সেমিনারে এ আহ্বান জানান তিনি।
পাঠাও সিইও বলেন, ‘আবারো বেড়েছে করোনার প্রভাব। স্কুল কলেজ বন্ধ থাকলেও অফিস আদালত কিন্ত খোলা। মানুষের নিজস্ব কর্মস্থলে যেতেই হয়। আমরা যে রাইড শেয়ারিং বন্ধ করে দিচ্ছি। যারা ড্রাইভার তাদের কিন্ত বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা করে বন্ধ করা উচিত। পাঠাওয়ে ৩ লাখ রেজিস্ট্রার ড্রাইভার রয়েছে। তাদের কিন্ত বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা করে দিতে পারি নাই। এ ব্যাপারগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি এবং সরকারের কাছেও বিভিন্ন আবেদন করেছি।’
ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভোশন এক্সপো সংক্রান্ত সব নিউজ পাওয়া যাবে এই লিঙ্কে ক্লিক করে।
তিনি আরো বলেন, ‘দেশে প্রথম যখন লকডাউন হয় তখন মানুষের ঘরে বসে নানা সার্ভিসের প্রয়োজন হয়। প্রয়োজন বুঝে আমরা পাঠাও ঠং, ফার্মা হেলথ চালু করি। ফলে মানুষের জীবিকা নির্বাহ হয় এর মাধ্যমে। ৩ মাস রাইড শেয়ারিং বন্ধ থাকায় অনেকের প্রধান আয়ের উৎস বন্ধ হয়ে পারে। সমস্যায় পরে লাখ রাইডার।’
স্টার্টআপ শুরু করতে গিয়ে নিজের নানা ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,’পাঠাওয়ের আগে আমাদের আরো ৫ টি স্টার্টআপ ছিল। সেগুলো সবগুলোতেই ব্যর্থ হয়েছি। পাঠাও ৬ নম্বর স্টার্টআপ। আমি ধরেই নিয়েছি ১০টি স্টার্টআপ থেকে কয়েকটি সফল হবে। আমাদের অফলাইন ও অনলাইনে যে সার্ভিস রয়েছে গ্রাহক ভালোভাবেই নিচ্ছে। আর আমরাও চেষ্ঠা করছি মার্কেট বৃদ্ধি করতে।’
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন, ডাটাসফটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব জামান, ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল ও লাইট ক্যাসেল সিইও বিজন ইসলাম প্রমুখ।