আগামী বাজেটে (২০১৯-২০) মোট ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। দুইটি স্বতন্ত্র তহবিলে এই বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। এরমধ্যে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সক্ষমতা বাড়ায় বাংলাদেশ অনুন্নত দেশগুলোর আইটি অবকাঠামো উন্নয়নে প্রযুক্তি সহযোগিতা তহবিলের অধীনে ৫০০ কোটি টাকা এবং পৃথকভাবে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প উন্নয়ন তহবিল বাবদ ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের কাছে পেশ করা তথ্যপ্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট বাজেট প্রস্তাবে এই বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বেসিস সূত্র জানিয়েছে, রাজধানীয় আগারগাঁওয়ের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে অনুষ্ঠিত সভায় রোববার (১৯ মে) এই প্রস্তাবনা অর্থমন্ত্রীর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দিয়েছেন বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর।
সভায় দেশীয় প্রকল্পে অংশগ্রহণের জন্য পিপিআর টেমপ্লেটে দেশীয় প্রতিষ্ঠানবান্ধব নীতিমালা প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ করা হয়। পাশাপাশি ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশি আইটি প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতার দিকগুলো তুলে ধরা হয়।
পাশাপাশি, কর মোওকুফ সনদ প্রদান সহজীকরণ প্রসঙ্গ উত্থাপন করা হয়। এই সনদ ২০২৪ সাল পর্যন্ত একবারে প্রদান করার প্রস্তাব করা হয়। নিরসনে বেসিস যাতে আয়কর অব্যাহতি সনদ প্রদান করতে পারে সে বিষয়টিও তুলে ধরা হয়।
এছাড়াও, যেহেতু আমাদের দক্ষ জনশক্তির অভাব রয়েছে, সেহেতু কোনো প্রতিষ্ঠান যদি তাদের আইটি প্রফেশনালকে বৃত্তি প্রদান করে বিদেশে উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য পাঠায়, তাহলে তাদের বৃত্তি/ প্রশিক্ষণ ফি বাবদ ব্যয়িত অর্থের ওপর আয়কর রিবেট দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়।
বাজেট প্রস্তাবনা পেশ করার সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ)-এর মহাপরিচালক মো. আলী নূর, বেসিসের সহ-সভাপতি (প্রশাসন) শোয়েব আহমেদ মাসুদ এবং বেসিসের সহ-সভাপতি (অর্থ) মুশফিকুর রহমান।